যে পাথরে ফুল ফুটেছে-৩ [রোমান্টিক/সুপারহিরো]




ঘরে ঢুকেই রবিন  বন্ধ করে ফেলল দরজা ।  সে বিশ্বাস করতে পারছে না আজকে রিয়ার সঙ্গে সে এত সময় কাটিয়েছে যে আগে কখনো কোনো মেয়ের সাথে এভাবে সময় কাটাইনি । এমনকি তার জীবনে আর কেউই আসেনি আগে।



রবিন বুঝতে পারল সে তার জীবনে কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে একটা কোটিপতির মেয়েকে কি বিয়ে করা যাবে? কারণ রবিন একজন  সরকারি কর্মকর্তার ছেলে। 



খুট  করে একটা বিপ দিয়ে ফোনে রিংটোন বেজে উঠলো। তাকিয়ে দেখল রিয়া কল করেছে।



বল, স্যরি বলেন। 



রিয়া বলল, না না আমাকে তুমি করে বলতে পারো আমরা কাছাকাছি বয়স তাই না? আমরা তো বন্ধুই।



রবিন শান্তি পেল। বুঝলো কোন দিক থেকে সিগন্যাল আসছে তার মানে এটা একটা পজিটিভ থিং।



রবিনকে রিয়া বলল, “কাল আমার কলেজে আসতে পারবে?” 



রবিন বলল কেন?



রিয়া বলল, না এমনি। হুট করে কেন জানি মনে হচ্ছে ভরসা করার মত একজন মানুষকে পেয়েছি।



রবিন বলল, এত সহজে মনকে গলিয়ে ফেলো না। কিছুটা তো শক্ত রাখো।



রিয়ার চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। বলল, তোমার ভেতরটা অনেক শক্ত।



রবিন বলল, পুরুষদের শক্ত হতে হয়। আমার ক্ষেত্রে আমি বলব আমার জন্য ওরকম প্রত্যাশা  কোরো না।



রিয়া বলল, ঠিক আছে। আমরা বন্ধুই থাকব।



রবিন বলল, ফোন কেটো না আমি কথা বলছি। একটু পানি খাব। লাইনে থাকো।


কথাটা বলতে না বলতেই, হুট করে টিভির দিকে নজর গেল রবিনের। কাকরাইলের একটা বিশাল বস্তিতে আগুন লেগেছে।



রিয়াকে বলল, রিয়া টিভি অন করো দেখো।



প্রিয় বললো, আরে হ্যাঁ কোথায় যেন আগুন লেগেছে দেখলাম।



রবিন বলল ঠিক আছে পরে কথা হবে। আমি এখন সেখানে যাচ্ছি। ওখানে আগুনটা নেভানোর জন্য সাহায্য করতে হবে।



রবিন হুশ করে উঠে চলে গেল কাকরাইলে সেই জায়গাতে। ভালোই আগুন লেগেছে। সে বুঝতে পারলো যে, কিছু একটা না করলে তার হবে না। হুট করে লোকটার কথা মনে পড়ল। সে জানত যে, যে কোন কিছু করতে চাইলে সে এখন করতে পারবে।



সাথে সাথে সে চিন্তা করলো যে আকাশ থেকে তুমুল  বৃষ্টি নামবে এখন। সেটা মনে করে সে আকাশের দিকে দুই হাত বাড়িয়ে দিল।



সত্যি সত্যি অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামতে শুরু করলো। উপস্থিত সবার মাঝে যেন প্রশান্তি নেমে আসলো। কিন্তু আগুনটা লাগল কোনখানে? কোথা থেকে আগুনটা লাগল?



ঘটনাটার রহস্য উদঘাটন করতে হবে।



বিষয়টা কি? সত্যি সত্যিই বোঝার জন্য সে ইন্সপেক্টর এর কাছাকাছি গেল। ইন্সপেক্টর লোকটাকে দেখে মনে হল সে সৎ।



ইন্সপেক্টর এর পাশে যে হাবিলদার আছে তার কিছু কথা কানে এলো।  ইন্সপেক্টরের নাম শেরমান আজাদ।


“স্যার জায়গাটা তো বহুদিন ধরে দখল করতে চাইছিল। কিন্তু আমরা তো সেটা করতে দিতে পারি না।”



ইন্সপেক্টর বললো, ও আচ্ছা তার মানে এই যে দলটা চাইছে এই জায়গাটা দখল করতে। 



রবিনের মনে প্রশ্ন উঁকি দিল সহসা। সে বুঝতে পারল এখানে বড় ঘোরতর কোন বিপদ আশঙ্কা করা হচ্ছে।



তাহলে কে করতে চলেছে এই কাজ যে এই জায়গাটা দখল করবে?!

Post a Comment

Previous Post Next Post