ফেসবুক লেখক নাকি মেইন্সট্রিম লেখক?

গত শতাব্দীতে আমরা দেখেছি লেখালেখির মাধ্যম একটা সংবাদপত্র/ম্যাগাজিন অথবা আরেকটি এই দুই মাধ্যমে আমরা বই ছাপাতে দেখেছি। এখন আধুনিক যুগ। এ যুগে বিভিন্ন মাধ্যমে লেখা যায়। আপনি প্রবন্ধ গল্প উপন্যাস কবিতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমকে অবলম্বন করতে পারেন।


বর্তমান যুগে যে ধরনের লেখার মাধ্যম রয়েছে তাদের মধ্যে সবচাইতে সহজলভ্য ফেসবুক আসে ব্লগার.কম। তারপর আরো অনেক রকমের ওয়েব 3.0 সাইট আছে। যেমন: wordpress, wix, weebly, hubspot ইত্যাদি। আজকে যে রাগিব নিযাম নামটা আপনারা জানেন সেই নামটা ফেসবুকে এবং ব্লগারের কল্যাণে। আমার ব্লগার এবং facebook অফিসিয়াল প্রোফাইল ও সাইট আছে। এই যে বাংলাদেশে এত বড় একটা ফিকশনাল সুপারহিরো ইউনিভার্স রচনা করলাম তার সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে ফেসবুক এবং ব্লগার ডট কম এর কল্যাণে।


সাম্প্রতিক কালে একটা বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেটা হলো পাঠকরা কাদের বই পড়বে এবং সেখানেও বিভক্তি চলে এসেছে। অনেকে মনে করছেন যে ফেসবুক লেখক নামে একটা সম্প্রদায় আছে। তারা ফেসবুককে জনপ্রিয়তার মাধ্যমে হিসেবে অবলম্বন করছে এবং সে মাধ্যম দিয়ে  তাদের বই বের করার যে পদ্ধতিটা মনোপূত হচ্ছে না অনেক মেইনস্ট্রিম পাঠকের এবং লেখকের।


কিন্তু আমি বলব যদি না থাকতো শুধুমাত্র ম্যাগাজিন এবং পত্র দিয়ে কি কথা ছড়িয়েছে তো বাংলাদেশের সংবাদপত্রের পরিমাণ এত বেশি যে ধনী লিখুক না কেন তোকে একটা জায়গায় লিখলে সব জায়গা থেকে মানুষ খুঁজে পায় সেই গল্পটা এবং কারো লেখা যদি ভালো হয়েই থাকে তাহলে কেন আমরা স্বাগত জানাবো না তাকে।


ইলমা বেহেরোজ, ফেসবুকের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখিকা। তিনি ২০২৪ বইমেলায় পদ্মজা নামে একটি করেছেন এবার। ফেসবুকের বিখ্যাত পদ্মজা অত্যন্ত সুপ্রসিদ্ধ গল্প সিরিজ। সেই সুবাদে বইটির কাটতি হচ্ছে, বইটি অত্যন্ত আলোচনা মুখর হয়ে উঠেছে বই পাড়ায়।


এ থেকে বোঝা যাচ্ছে আমরা চাইলেও ফেসবুক লেখকদেরকে ইগনোর করতে পারি না। এদের বুকে স্যাম্পল গল্প দেখি নির্ধারণ করতে পারবেন যে আগামীতে ভালো লেখক কে জায়গা দিতে পারি এই বই ইন্ডাস্ট্রিতে।


পরিশেষে বলবো শুদ্ধ আত্মার চত্তার জন্য সাহিত্যকে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো বিকল্প নেই সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে লেখকদের আসলেই বিকল্প নাই ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে আমাদের কবি ও কালজয়ী কথাসাহিত্যিক।


Post a Comment

Previous Post Next Post